December 23, 2024, 10:13 pm

সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা সিটির সাংবাদিকদের নিয়প আলোচনা সভা গৌরনদী মডেল থানায় বরিশাল জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায়ী সংবর্ধনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে অসামাজিক কাজে জরিত থাকার অভিযোগে নারী সহ আটক-৩। টঙ্গি ইজতেমার মাঠে হামলার প্রতিবাদ খুনিদের বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ধানক্ষেত থেকে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার দিনাজপুরে “গমের জাত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় স্পীড ব্রীডিং-এর ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম

৪ বছরের সন্তানকে নিতে চান না বাবা-মা, বিস্মিত আদালত

৪ বছরের সন্তানকে নিতে চান না বাবা-মা, বিস্মিত আদালত

 ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

 

মানুষের সবচেয়ে আপনজন তার বাবা-মা। কিন্তু চার বছরের ছোট্ট শিশু মাসান আরদিতের আপন কে? তার বাবা-মাই যে তাকে রাখতে চান না। যাতে বিস্মিত আদালতও। বিষয়টি নিয়ে পরস্পরকে দুষছেন দুপক্ষের আইনজীবী। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বিপর্যস্ত করে তুলছে শিশুদের জীবন।

চার বছর তিন মাস বয়সী মাসান আরদিত নিষ্ঠুর এক বাস্তবতার শিকার।

ঢাকার সিএমএম আদালতে তার মা-বাবা জানিয়েছেন, মাসানকে তারা রাখতে চান না। বিবাহ বিচ্ছেদের পর, বাবা উঠেছেন একটি মেসে। সেখানে শিশুটিকে রাখার পরিবেশ নেই। আর সন্তানের খরচ চালানোর অক্ষমতার কথা বলছেন মা।

এমন ঘটনা অবাক করে দেয় উপস্থিত সবাইকে। এ সময় আদালত প্রশ্ন রাখেন, বাবা-মা না দেখলে ছোট্ট শিশুটির দায়িত্ব নেবে কে?

মাসানের মা সানজিদা শারমিন বলছেন, বাচ্চার বাবা তার কোনই খোজ নেই না, একবার দেখতে আসে না। ভরণপোষন ও দিচ্ছে না। তাহলে বাচ্চাটাকে আমি কিভাবে রাখবো?

তবে, বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি বাবা মাহফুজ ইসলাম। দুপক্ষের আইনজীবীরাও একে অপরের উপর দোষ চাপালেন।

মাসানের বাবার আইনজীবী ইকবাল আহাম্মেদ খান বলেন, বাচ্চা নাবালক হলে ৭ বছর বয়স পর্যন্ত আইন অনুযায়ী মার কাছেই থাকবে। অপরদিকে মাসানের মায়ের আইনজীবী আকলিমা ইসলাম বলছেন, বাচ্চা মা রাখতে পারবে কিন্তু বাচ্চার খরচ অবশ্যই বাবাকে দিতে হবে, না দিলে ভিন্নপথ অবলম্বন করতে হবে আমাদের।

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ফাওজিয়া কর্মী ফিরোজ বলছেন, বিচ্ছেদের মামলা বিষাক্ত করে তুলছে এমন শিশুদের জীবন। তিনি বলছেন, আমাদের আদালত নারী ও শিশু বান্ধব নয়। আদালত দেখতে চান বলে অনেকেই ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে আসেন, কিন্তু সেখানে বাচ্চা নিন্যে ঢোকার মত পরিবেশ থাকে না।

২০১৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এ দম্পতি। তবে, এরপর সময় যত গড়িয়েছে, দাম্পত্য কলহে ফাটল ধরেছে সম্পর্কে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর